আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি এবং ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দিতে যান উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৯ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই ইস্যুতে জনগণের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত নেতিবাচক। ফলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইতোমধ্যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় সংলাপের প্রস্তাব করেছে।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে বলা হয়, গণহত্যার বিচারে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে ন্যূনতম ৫টি ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। শহীদ ও আহতদের তালিকা তৈরির কাজ এখনো শেষ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ অপ্রতুল ও অনুল্লেখযোগ্য।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, অন্তর্বর্তী সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে ডামি রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ তার ছেলে ও শ্যালককে নিয়ে ৮ মে রাত ৩টায় দেশ ছেড়েছেন। সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কীভাবে সে দেশ ছাড়লো, তা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।